ঢাকা, ১২ জুলাই ২০২৫ – বুধবার (৯ জুলাই) সন্ধ্যা ≈৬টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতালের গেট নং ৩-এর সামনে ব্যবসায়ী লাল চাঁদ (৩৯) বা ‘সোহাগ’ ধস্তাধস্তি ও পাথর আর কনক্রিট দিয়ে পেটা শুরু হয়। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসার পর বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা হিসেবে দেশজুড়ে তা আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।
হত্যাকাণ্ডের চিত্র এবং ঘটনা
দৃশ্যত পলাতক তৃতীয় পক্ষের নেতিবাচক বক্তব্য ব্যবহার করে সোহাগকে অপ্রতিাম ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। সংঘবদ্ধ একদল ব্যক্তি তাকে ধাওয়া করে ফেলে রাস্তায়, majd গলায় ও চেস্টিতে কনক্রিটের বড় বড় টুকরো দিয়ে হামলা চালানো হয় । হত্যার পরও মরদেহে বর্বরতা চালানো হয়, ঘটনাস্থলেই বেশির ভাগ মানুষ মোবাইল দিয়ে ভিডিও ধারণে ব্যস্ত ।
গ্রেফতার ও মামলা
ঘটনার পর পুলিশ ও র্যাব যৌথভাবে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে। এদের মধ্যে–
-
মাহমুদুল হাসান ‘মহিন’ (৫ দিনের রিমান্ডে)
-
তারেক রহমান ‘রবিন’ (২ দিনের রিমান্ডে)
রবিন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে যে সে হত্যা ও অস্ত্র মামলায় জড়িত ছিল ।
মামলা দুইটি: একটি হত্যা মামলাসহ আরেকটি অস্ত্র আইনের ভিত্তিতে দাখিল করা হয়েছে মিটফোর্ড থানায় ।
রাজনৈতিক সংগঠনের জড়িততা ও বহিষ্কার
ভিডিওতে ধরা দিবালোকে সোহাগকে পেটানোর সময় অনেককে মাঠে বসে বিতর্কিত গলায় উৎসাহ দিতে দেখা গেছে—পক্ষত এই আন্দোলনে যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মীরা যুক্ত থাকার অভিযোগ নতুন নয়। ৪ জনকে তাদের ই সংগঠন ছাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে:
-
রাজাব আলী ‘পিন্টু’
-
সাবাহ করিম ‘লাকি’
-
অপু দাস
-
কালু।
সরকারের প্রতিশ্রুতি ও তদন্ত
আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল গতকাল বলেন, “সরকার দ্রুত বিচার নিশ্চিত করতে Speedy Trial Tribunal আইন (২০০২) অনুযায়ী বিচার দ্রুত শুরু করবে, যাতে তালিকাভুক্ত ৫ জনের মধ্যে যারা দোষীদের শাস্তি পায়” ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, BUET, জগন্নাথ, জাহাঙ্গীরনগর, রাজশাহীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীরা ধর্ষণ কেন্দ্রিক বিচার দাবি করে প্রদর্শন করেছে। তারা দ্রুত বিচার ও “নির্ভরযোগ্য শাস্তি” নিশ্চিতের জোর দাবি তুলেছে ।
পথ বাধা ও সামাজিক প্রতিক্রিয়া
নিন্দার ঝড়ে সমাজজুড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিক্রিয়া হয়েছে। অনেকেই “আইনের বলের মাধ্যমে বিচার না হলে এটি হবে বিচারবহির্ভূত হত্যার সংস্কৃতি” — এমন উদ্বেগ করছেন।
উল্লিখিত ঘটনার প্রেক্ষাপটে নিরাপত্তা বাহিনী ও বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাগণ অভিযোগ করেছেন, মানুষ ভয়-ভীতি না থাকা পর্যন্ত এমন নৃশংসতা বন্ধ করা কঠিন।
🔍 সংক্ষিপ্ত বিশ্লেষণ
-
একটি প্রকাশ্যে সংঘটিত বিচারবহির্ভূত হত্যার ঘটনা, যেখানে সহিংসতা ভিডিওতে ধরা পড়েছে।
-
পলাতক নয়, বরং গ্রেফতার বেশ কিছু অভিযুক্ত প্রাথমিকভাবে — পুলিশের কার্যক্রম যে কার্যকর ছিল তার প্রমাণ।
-
রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা অভিযোগ ওঠায় স্বচ্ছ বিচারসহ সাংগঠনিক পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার।
-
দুর্বল আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থার প্রতিফলন—যদি এ ধরনের হত্যার প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ না হয়, সাদা অঞ্চলের ভবিষ্যৎ ধকল হতে পারে।



No comments:
Post a Comment